নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে।

গতকাল ১২/মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইয়ামিন কবির (১৬) উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমাড়ী গ্রামের মোল্লা মনিরুজ্জামানের ছেলে।

সে পরিবারের সঙ্গে লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকে।

স্কুলছাত্রের মামা মোল্লা রিপন হোসেন বলেন, ইয়ামিনের পেটে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ইয়ামিনের বিরোধ হয়।

সিনিয়র–জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম হায়াতুজ্জামান বলেন, কী কারণে ইয়ামিনের ওপর হামলা হয়েছে, তা আজ রোববার খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি

কিন্তু ইয়ামিন বলেন একটি জুনিয়র মেয়ে কলম দেওয়া নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা বলেন, ওই ঘটনার পর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

তাদের মধ্যে নবম শ্রেণির এক ছাত্র হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হামলায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। হামলার কারণ মোটামুটি পরিষ্কার। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।